উচ্চ মাধ্যমিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৪র্থ অধ্যায় short note.

www                (World Wide Web): বিশ্বজাল। অনেক সময় একে ওয়েব নামে ডাকা হয়।

web:                 বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সকল কম্পিউটারের একটি নেটওয়ার্ক।

Web Design:    www এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়বস্তু ব্যবহারকারীদের কাছে উপস্থাপন করার একটি শিল্প।

Web Design:    একটি ওয়েব সাইটের বাহ্যিক সৌন্দর্য নির্মান কৌশলই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন।

www:               (World Wide Web) হচ্ছে বিশ্বব্যাপী বন্টিত গতিশীল (dynamic interactive) গ্রাফিক্যাল হাইপার টেক্সট ইনফরমেশন সিস্টেম যা ইন্টারনেটে রান করে।

নেটওয়ার্কঃ         একটি কম্পিউটারের সাথে অপর এক বা একাধিক কম্পিউটারের সম্পর্ককে/যোগাযোগকে নেটওয়ার্ক বলে।

অথবা,  একটি ডিজিটাল ডিভাইসের সাথে অপর এক বা একাধিক ডিজিটাল ডিভাইসের যে আন্ত সম্পর্কের গঠন তাকে Network বলে।

ইন্টারনেটঃ          একটি নেটওয়ার্কের সাথে এক বা একাধিক নেটওয়ার্কের যোগাযোগকে ইন্টারনেট বলে। অর্থাৎ ইন্টারনেট হলো নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক।

তিনটি নতুন প্রযুক্তির সমন্বয়ে ওয়েব গড়ে উঠে।

  1. html: Hyper Text Markup Language যার দ্বারা ওয়েব পেজ লিখা হয়।
  2. http: Hyper Text Transfer Protocol যার দ্বারা Web Server Computer ওয়েব ট্রান্সমিট বা প্রেরণের কাজ সম্পন্ন করে। অর্থাৎ সকল কম্পিউটার একটি প্রমিত যোগাযোগ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে যাকে http বলে।

The Hypertext Transfer Protocol (HTTP) is an application protocol for distributed, collaborative, hypermedia information systems. HTTP is the foundation of data communication for the World Wide Web. Hypertext is structured text that uses logical links (hyperlinks) between nodes containing text.

http://www.akabaict.blogspot.com

ftp:///desktop/fahim.html

Protocol     প্রটোকল হচ্ছে এক সেট নির্দেশাবলী যা কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্কিং বাস্তবায়নে ব্যবহৃত হয়।

A network protocol defines rules and conventions for communication between network devices. Protocols for computer networking all generally use packet switching techniques to send and receive messages in the form of packets.

Perhaps the most important computer protocol is OSI (Open Systems Interconnection),

a set of guidelines for implementing networking communications between computers.

The most important sets of Internet protocols are TCP/IP, HTTP, and FTP

FTP:                File Transfer Protocol

FTP: ইন্টারনেটের মাধ্যম ব্যবহার করে ফাইল আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত প্রটোকল। download/upload এবং ইন্টানেটের বুলেটিন বোর্ডে কোন ওয়েব পেজ স্থাপন করার জন্যও এই প্রটোকল ব্যবহৃত হয়।

The File Transfer Protocol (FTP) is a standard network protocol used to transfer computer files between a client and server on a computer network. FTP is built on a client-server model architecture and uses separate control and data connections between the client and the server.

 

web Browser   : যে প্রোগ্রাম ডেটা রিসিভ ও অনুবাদ করে ক্লায়েন্টকে তার ফলাফল প্রদর্শন করে।

Web Page        : এক ধরণের ওয়েব ডকুমেন্ট। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার উপযোগী ইন্টারনেটের সাথে সংযু্ক্ত বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা ফাইলকে ওয়েব পেজ বলে।

ওয়েব পেজের বিষয়বস্তু     : টেক্সট, ছবি, গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের ডেটা ফাইল, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি।

  1. ডেটা ফাইল: .ppt, .doc,
  2. ছবি ও গ্রাফিক্স ফাইল
  3. ভিডিও এবং অডিও ফাইল
  4. Html
  5. Js (Java Script)
  6. CSS: (Cascading Style Sheet)
  7. PHP: Personal Home Page

PHP (recursive acronym for PHP: Hypertext Preprocessor) is a widely-used open source general-purpose scripting language that is especially suited for web development and can be embedded into HTML

The definition of PHP is “Personal Home Page”

Other terms relating to ‘personal’:

  • IMPO In My Personal Opinion
  • INTP Introverted intuitive Thinking Perceiving (personality type indicator)
  • MPO My Personal Opinion
  • PA Personal Assistant
  • PAN Personal Area Network
  • PB Personal Best
  • PCMIA Personal Computer Manufacturer Interface Adaptor
  • PDA Personal Digital Assistant
  • PIN Personal Identification Number
  • PSM Personal Short Message
  • PVR Personal Video Recorder
  • TAG Personal signature
  • UC&P Up Close and Personal

Web Site          : একই ডোমেইনের অধীনে পরস্পর সংযোগযোগ্য একাধিক ওয়েব পেজের সমষ্টিকে ওয়েব সাইট বলে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে ওয়েবসাইটের জন্য এপ্লিকেশন তৈরী করা।

ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েব ডিজাইন: ফ্রন্টএন্ড বলতে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সেই অংশটিকেই বুঝায় যা আপনি দেখতে পারেন বা যার সাথে সরাসরি ইউজারের ইন্টারেক্ট হচ্ছে।

ফ্রন্টএন্ড মূলত দুই প্রকারের:

১. ফ্রন্টএন্ড ডিজাইন এবং

২. ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপমেন্ট

ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সাধারণত তিনটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত:

১. সার্ভার

২.অ্যাপ্লিকেশন এবং

৩.ডেটাবেজ।

ফেসবুকে লগইন করার পর যে অংশটুকু দেখতে পান সেটি হল ফ্রন্টএন্ড, সেখানে একটি ছবি আপলোড করলে অ্যাপ্লিকেশন সেগুলোকে ব্যাকএন্ড এর ডাটাবেজ এ জমা করে। হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে, ডাটাবেজ জিনিসটা কি! আসলে ডাটাবেজকে তুলনা করতে পারেন বিশাল আকৃতির একটি এক্সেল শীটের সাথে যা হয়তো অ্যারিজোনার কোন এক কম্পিউটারে(সার্ভারে) জমা আছে।

তারমানে আপনার সকল ইনফরমেশন বা তথ্য সার্ভারের ডাটাবেজে সংরক্ষিত হচ্ছে। আর যখনি আপনি লগইন করছেন, সেই সংরক্ষিত তথ্যগুলোই প্রদর্শিত হয়। আর এই পুরো কাজটিই নিয়ন্ত্রিত হয় ব্যাকএন্ড অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে। যারা এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো তৈরী করে দেন তাদেরকেই বলা হয় ওয়েব ডেভেলপার(ব্যাকএন্ড)।

এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো তৈরী করতে পিএইচপি, রুবি, পাইথন এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়। প্রোগ্রামিংয়ের কাজটিকে আরো সোজা করতে “রুবি অন রেইল” বা “লারাভেল” এর মত ফ্রেমওয়ার্ক গুলো ব্যবহৃত হয়।
সিএমএস:
অনেক ওয়েব প্রফেশনালরা সিএমএস নিয়ে কাজ করেন। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই সিএমএস জিনিসটা আসলে কি? ফ্রন্টএন্ড এবং ব্যাকএন্ড এর সম্মলিত ব্যবহারের একটি ভাল উদাহরণ হল সিএমএস, যেমন ওয়ার্ডপ্রেস। পিএইচপি দিয়ে তৈরী এই ওপেন সোর্স প্রোগ্রামটি ডাটাবেস সহ সার্ভারে ইনস্টল করতে হয়।

এই ওপেন সোর্স ফ্রেমওয়ার্কটিতে ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো আগে থেকেই তৈরী করা থাকে, নতুনভাবে আর তৈরী করতে হয়না। সিএসএস, জেকোয়ারী এবং জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে একজন ডিজাইনারকে শুধু এর আউটলুক এবং ফাংশনালিটিগুলোকে নিজের ব্যবহার উপযোগী করে সাজিয়ে নিতে হয়।

আশা করি ফ্রন্টএন্ড, ব্যাকএন্ড এবং সিএমএস ডেভেলপিং সম্পর্কিত বিষয়গুলো আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে এসেছে। পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর মাঝে পার্থক্য কি সেটাও বুঝতে পেরেছেন।

গঠন বৈচিত্রের উপর নির্ভর করে ওয়েব সাইট দু ধরণের:

  1. Static web site: যে সকল ওয়েব সাইটের ডেটার মান ওয়েব পেজ চালু করার পর পরিবর্তন করা যায়না। স্ট্যাটিকওয়েবসাইট হচ্ছে এমন এক ধরনের ওয়েবসাইট যার উপাদান বা কন্টেন্টগুলো পরিবর্তনের জন্য source file পরিবর্তন করতে হয়। এগুলো অনেক জটিল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। অর্থাৎ স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট সহজে Edit করা যায়না। এটি সাধারণ HTML, CSS দিয়ে করা যায়।এটি হচ্ছে Web Design এর কাজ।

বৈশিষ্ট্য:

  • কনটেন্ট নির্দিষ্ট থাকে।
  • ব্যবহারকারী তথ্য প্রদান বা আপডেট করতে পারেনা।
  • খুব দ্রুত লোড হয়।
  • কোন রকম ডেটাবেজের সাথে সংযোগ থাকেনা।
  • কেবলমাত্র সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে(একমুখী)কমিউনিকেশন হয়।
  • শুধু HTML ও CSS ব্যবহার করেই এটি উন্নয়ন করা যায়।

সুবিধাঃ

  • খরচ কম।
  • ওয়েব সাইট উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ খুব সহজ।
  • অতি দ্রুত, দক্ষতা ও নিরাপত্তার সাথে কনটেন্ট সরবরাহ করা যায়।
  • খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিন পরিচালনা করা যায়।
  • সহজেই ওয়েব পেজের লেআউট তৈরি করা যায়।
  • নেট স্পীড কম হলেও দ্রুততার সাথে ডেটা ডাউনলোড করা যায়।

অসুবিধাঃ

  • কনটেন্ট কোডিংএর কারনে আপলোডিং সময় বেশি লাগে।
  • ওয়েব সাইটের আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে কনটেন্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়।
  • মানসম্মত ওয়েব পেজ ডিজাইনিং অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ।
  • ব্যবহারকারীর নিকট হতে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকেনা।
  1. Dynamic web site: যে সকল ওয়েব সাইটের ডেটার মান ওয়েব পেজ চালু করার পর পরিবর্তন করা যায়। আরডাইনামিক ওয়েবসাইট হচ্ছে এমন এক ধরনের ওয়েবসাইট যার উপাদান বা কনটেন্ট সহজেই সোর্স কোডের কোন পরিবর্তন ছাড়াই সাজানো যায়। এর জন্য একটি Content Management System বা CMS দিয়ে ওয়েবসাইটকে ম্যানেজ করতে হয়। এরজন্য প্রোগ্রামিং ভাষা জানা প্রয়োজন। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করা যায়, এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে PHP .

 বৈশিষ্ট্য:

  • পরিবর্তশীল তথ্য বা ইন্টারঅ্যাকটিভ ওয়েব পেজ থাকে।
  • রানটাইমের সময় পেজের ডিজাইন বা কনটেন্ট পরিবর্তন হতে পারে।
  • ডেটাবেজ ব্যবহারের ফলে কুয়েরি করে তথ্য বের করার সুযোগ থাকে।
  • সময় ব্যবহারকারী তথ্য প্রদান বা তথ্য আপডেট করতে পারে।
  • শুধু HTML এর সাথে Scripting Language যেমন PHP বা ASP ভাষা ব্যবহার করেই এটি উন্নয়ন করা যায়। (ASP = Active Server Pages.ASPis a Microsoft Technology.ASP is a program that runs inside IIS. IIS = Internet Information Services.)

সুবিধাঃ

  • চাহিদানুযায়ী পেজের কনটেন্ট পরিবর্তন হতে পারে।
  • তথ্য খুব দ্রুত আপডেট করা যায়।
  • নির্ধারিত ব্যবহারকারীর জন্য নির্ধারিত পেজ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যায়।
  • ব্যবহারকারীর নিকট হতে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
  • অনেক বেশী তথ্য বহুল হতে পারে।
  • আকর্ষণীয় ইন্টাঅ্যাকটিভ লে-আউট তৈরি করা যায়।

অসুবিধাঃ

  • ডেটাবেজ ব্যবহৃত হয় ফলে ব্যবহারকারীর ব্রাউজারে লোড হতে সময় বেশি লাগে।
  • উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলক জটিল।
  • খরচ বেশি।

ওয়েব ডিজাইনের জন্য কোন ভাষাগুলো লাগবে?

ওয়েব ডিজাইনের জন্য আমাদের লাগবে HTML, HTML5, CSS, CSS3

আমরা এই গ্রুপে সবই শিখবো ইনশাআল্লাহ্‌। এর জন্য শুধু ধৈর্য্য ধরে থাকতে হবে।  বাড়তি হিসেবে থাকবে Javascript এবং JQuery(জেকুয়েরি)। এরপর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ভাষা গুলো নিয়ে আলোচনা হবে যেমন PHP, Python. গ্রুপে আমরা বিভিন্ন CMS যেমন wordpress নিয়েও কাজ করবো ইনশাআল্লাহ্‌।

নতুন ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে আবশ্যক ১০টি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন

একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট হয়ে গেলে সেটির ডিজাইন কিংবা কনটেন্টের পরির্বতন করা বেশ ঝামেলার। তাই ওয়েবসাইট তৈরি করার শুরুতেই বেশ কিছু বিষয় ভালোভাবেই যুক্ত করা উচিত। এসব বিষয়গুলো ছাড়া ওয়েবসাইট অসম্পূর্ণ মনে হয়। এখানে নতুন ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে আবশ্যক ১০টি বিষয় সম্পর্কে জানানো হলো।

১. লোগো: একটি লোগো সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্লগের পরিচয় বহন করে। প্রতিনিয়তই লোগো পাল্টানো সম্ভব না। তাই দায়সারাভাবে টেক্সট, লোগো মেকার অথবা ক্লিপআর্টের মাধ্যমে লোগো না তৈরি করে, ভালোমানের ডিজাইনার দিয়ে একটি সুন্দর ও প্রফেশনাল লোগো তৈরি করতে হবে। সেটি সাইটের হেডারে যথাযথ স্থানে বসাতে হবে, যাতে ভিজিটররা সহজেই লোগোটি দেখতে পারে।

২. ট্যাগলাইন: সংক্ষিপ্ত কথার মাধ্যমে ঐ ওয়েবসাইটটির সেবা বা কি ধরণের ওয়েবসাইট তা বোঝানোর জন্য ট্যাগলাইন ব্যবহার করা হয়। তাই একটি ছোট, সহজেই আকর্ষন করে এবং যাতে একজন ভিজিটার ট্যাগলাইন দেখেই সাইটি সম্পর্কে ধারণা করতে পারে এমন ট্যাগলাইন ব্যবহার করতে হবে।

৩. পোর্টফোলিও: এটি মূলত ব্যক্তিগত কিংবা সেবাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যুক্ত করতে হয়। তাই আপনার কিংবা আপনার প্রতিষ্ঠানের আগের কিছু কাজ বা সেবা পোর্টফোলিও হিসেবে যুক্ত করতে হবে। আপনি একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার হলে আপনার ওয়েবসাইটে আগের করা কিছু কাজের নমুনা পোর্টফোলিও হিসেবে যুক্ত করতে পারেন। এছাড়া কোম্পানির ওয়েবসাইট হলে ঐ কোম্পানির ভালো কিছু ক্লায়েন্টের জন্য করা কাজ বা সেবা যুক্ত করা যেতে পারে।
৪. সার্ভিস পেইজ: আপনি কিংবা আপনার প্রতিষ্ঠান কি ধরণের সেবা দিচ্ছে তা সার্ভিস পেইজে যুক্ত করতে হবে। কাঙ্খিত ক্রেতা যাতে ওয়েবসাইট দেখেই আপনার সেবা নিতে আগ্রহী হয় তেমনিভাবে সেবাগুলোর বিবরণ দিতে হবে। আপনার সেবা বা পণ্য নিলে ক্রেতারা কেনো লাভবান হবেন সেটি বর্ণনা দিতে হবে।

৫. অ্যাবাউট আস পেইজ: আপনি কিংবা আপনার কোম্পানি কি, আপনার কোম্পানির মিশন, ভিশন, অতীত, আপনার কোম্পানির সদস্যদের সম্পর্কে এখানে তুলে ধরতে হবে। এককথায় আপনার কিংবা কোম্পানির সম্পর্কে যাতে এই পেইজ থেকে পুরো ধারণা দেওয়া যায় সেভাবে উপস্থাপন করতে হবে অ্যাবাউট/অ্যাবাউট আস পেইজ।

৬. কনট্যাক্ট পেইজ: ভিজিটর আপনার কিংবা কোম্পানির ওয়েবসাইট দেখে যোগাযোগ করার ইচ্ছা পোষন করতে পারে। তাই কনট্যাক্ট পেইজে আপনার কিংবা আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, ইমেইল, ফোন নাম্বারসহ যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে যেমন ফেইসবুক পেইজ/আইডি, টুইটার অ্যাকাউন্ট, স্কাইপ অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি যুক্ত করতে হবে। সম্ভব হলে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে ঠিকানা দেখিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া ভিজিটর যাতে সহজেই মেইল অথবা মেসেজ পাঠাতে পারে তার জন্য একটি কনট্যাক্ট ফরমও বসানো যেতে পারে।

৭. টেস্টিমোনিয়াল: ব্যবসায় কিংবা সেবার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার পুরাতন ক্লায়েন্ট আপনার কাজ, পণ্য বা সেবা নিয়ে কেমন উপকৃত হয়েছে, তাদের মন্তব্য কি এটা টেস্টিমোনিয়াল পেইজে যুক্ত করতে হবে। আপনার সন্তুষ্ঠ ক্লায়েন্টের এমন মন্তব্যের মাধ্যমে আরও নতুন ক্লায়েন্ট পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

৮. সাইটম্যাপ: একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে সম্পূর্ণরুপে সপে দেওয়ার জন্য সাইটম্যাপ জরুরী। এর ফলে সার্চ ইঞ্জিন সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের সকল পেইজ, পোস্ট দ্রুত ইনডেস্ক করতে পারবে ও সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের কাছে তুলে ধরতে পারবে। ওয়েবসাইটের ফুটার কিংবা উপরের মেনুতে একটি পেইজের মাধ্যমে সাইটম্যাপ যুক্ত করা যেতে পারে।

৯. সোশ্যাল মিডিয়া লিংক: হালের যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেইসবুক, টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউবের কোনও জুড়ি নেই। আপনার কিংবা আপনার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেকেই আপডেটের থাকতে চাইবেন। আপনিও চাইবেন যাতে আপনার এসব সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভিজিটররা সযুক্ত থাকতে পারে, তাদের কাছে আপনার সেবা পৌছে যাক। এজন্য সাইটের হেডার, ফুটার অথবা সাইডবারে সোশ্যাল মিডিয়া লিংকগুলো যুক্ত করতে হবে। মনে রাখতে হবে এগুলোতে যাতে সহজেই ভিজিটর দেখতে ও ক্লিক করতে পারেন।

অবস্থানের উপর নির্ভর করে ওয়েব পেজ দু ধরণের:

  1. Local Web page
  2. Remote Web page

ব্যবহারের ভিত্তিতে ওয়েব সাইটের শ্রেণীবিভাগঃ

  1. আর্কাইভ সাইট
  2. বিজনেস সাইট
  3. ই-কমার্স সাইট
  4. কম্যুনিটি সাইট
  5. ডেটাবেস সাইট
  6. ডেভেলপমেন্ট সাইট
  7. ডিরেক্টরি সাইট
  8. ডাউলোড সাইট
  9. গেম সাইট
  10. ইনফরমেশন সাইট
  11. নিউজ সাইট ইত্যাদি।

Client Computer: যে কম্পিউটার থেকে আমরা ওয়েব পেজ ব্রাউজ করি তাই ক্লায়েন্ট কম্পিউটার। দুটি শর্ত আছে ১. ইন্টারনেট কানক্টিভিটি ২. ওয়েব ব্রাউজার প্রোগ্রাম সম্বলিত হওয়া।

Web Server: ওয়েব পেজ বা ওয়েব সাইট যে সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে তাকে ওয়েব সার্ভার বলে।

web server is an information technology that processes requests via HTTP, the basic network protocol used to distribute information on the World Wide Web. The term can refer either to the entire computer system, an appliance, or specifically to the software that accepts and supervises the HTTP requests.

আইপি এড্রেস কি?

আইপি এড্রেস(IP Address) এর সম্পূর্ন ইংরেজী অর্থ হচ্ছে Internet Protocol Address. ভার্চুয়াল জগৎ থেকে আপনি যে তথ্য নিচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করে আইপি এড্রেস হচ্ছে একটি অদ্বিতীয় একটি ঠিকানা। অর্থাৎ আপনি যে আইপিএড্রেসটির মালিক তা আর কারও কাছে নেই। আপনার ইন্টারনেট সেবাদানকারীপ্রতিষ্ঠান এই আইপি এড্রেস এর মাধ্যমেই অবগত থাকেন, তিনি আপনার কাছে যে তথ্য পাঠাচ্ছেন এবং আপনি তা যথাযথভাবে পাচ্ছেন।

The Internet Protocol (IP) is the method or protocol by whichdata is sent from one computer to another on the Internet. Each computer (known as a host) on the Internet has at least one IP address that uniquely identifies it from all other computers on the Internet.

a unique string of numbers separated by full stops that identifies each computer using the Internet Protocol to communicate over a network.

Domain Name:

ডোমেইন কি?

ডোমেইন ইংরেজি শব্দ যার বাংলা অর্থ স্থান। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট খুলতে চান তবে ইন্টারনেটে আপনাকে একটি স্থান তথা ডোমেইন কিনতে হবে।

আইপি অ্যাড্রেস নাম্বার দ্বারা লেখা হয়। আইপি অ্যাড্রেসের জন্য সংখ্যা মনে রাখা কষ্টকর। তাই আইপি অ্যাড্রেসকে সহজে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য ইংরেজি অক্ষরের কোনো নাম ব্যবহার করা হয়। ক্যারেক্টার ফর্মের দেওয়া কম্পিঊটারের এরূপ নামকে ডোমেইন বলা হয়। যেমনঃ আইপি অ্যাড্রেস ২০৩.৯১.১৩৯.২ এর পরিবর্তে bijoy.net ডোমেইন নেম ব্যবহার করা যায়। ডমেইন নেমকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যাতে করে একই নাম অন্য কেউ না পায়। যে পদ্বতিতে ডোমেইন নেমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাকে DNS (Domain Naming System) বলে।

নিচের টেবিলে সাত ধরনের জেনেরিক টপ লেভেল ডোমেইন দেখানো হলো।

টপ লেভেল ডোমেইন ডোমেইন প্রকৃতি ঊদাহরণ
.com কমার্শিয়াল-বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান microsoft.com
.gov গভর্মেন্টাল-রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান whitehouse.gov
.mil মিলিটারি-মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত usarmy.mil
.edu এডুকেশন-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান buet.edu
.net নেটওয়ার্ক সার্ভিস bangla.net
.org অর্গানাইজেশন bccbd.net
.int আন্তর্জাতিক সংস্থা wipo.int, un.int

 

আরো বেশি নির্দষ্ট করার জন্য ডোমেইন হিসাবে ব্যবহারের জন্য দেশের সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করা হয়। নিচে কয়েকটি কান্ট্রি ডোমেইন দেওয়া হল।

ডোমেইন  নেম কান্ট্রি ডোমেইন নেম কান্ট্রি
ar আর্জিন্টিনা my মালয়েশিয়া
au অস্ট্রেলিয়া nl নেদারল্যান্ড
bd বাংলাদেশ pk পাকিস্তান
bt ভূটান sa সৌদি আরব
cn চীন th থাইল্যান্ড
eg মিসর tr তুর্কি বা তুরস্ক
id ইন্দোনিশিয়া uk যুক্তরাজ্য
in ইন্ডিয়া us যুক্তরাষ্ট্র
jp জাপান zw জিম্বাবুয়ে
lk শ্রীলংকা
  1. ওয়েব এড্রেস

ইন্টারনেট প্রটোকল কি?

টিসিপি/আইপি হলো ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রটোকল স্যুট। এটি তৈরি হয়েছিল ARPANet তৈরির সময়। সে কারণে এই প্রটোকল স্যুটকে DoD কিংবা ARPANet প্রটোকল স্যুটও বলা হয়। এই স্ট্যাকের দুটি প্রটোকলের নামানুসারে প্রটোকল স্যুটের নাম দেওয়া হয়েছে। এই প্রটোকল দুটি হলো : ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল (TCP) ও ইন্টারনেট প্রটোকল (IP)। TCP ব্যবহৃত হয় কানেকশন-অরিয়েন্টেড নির্ভরযোগ্য ট্রান্সমিশন সার্ভিসের জন্য, আর IP ব্যবহৃত হয় ওই নেটওয়ার্কের প্রতিটি হোস্টের এড্রেস নির্ধারণের জন্য। TCP/IP প্রটোকল স্যুট ইন্টারনেটে ব্যবহারের জন্য তৈরি হলেও এটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক ও ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রটোকল স্যুট এবং বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম, যেমন উইন্ডোজ, ইউনিক্স, লিনাক্স, ম্যাকিন্টশ ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যেতে পারে

URL                : is an acronym for Uniform Resource Locator and is a reference (an address) to a resource on the Internet. A URL has two main components: Protocol identifier: For the URL http://example.com , the protocol identifier is http . Resource name: For the URLhttp://example.com , the resource name is example.com

Web Browsing            : পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা পরস্পর সংযোগযোগ্য ওয়েবপেজ পরিদর্শন করাকে ওয়েব ব্রাউজিং বলা হয়।

SOAP                            : SOAP stands for Simple Object Access Protocol.

Web Browser  : ওয়েব সাইটগুলো ঘুরে দেখার জন্য ব্যবহারকারী যে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন, তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে।

Browser:          ব্রাউজার শব্দটির অর্থ হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে কোন কিছু পড়া বা লেখা।

কাজ:

  1. ইন্টারপ্রেটারের ন্যায় ওয়েব পেজে লিখিত কোডগুলো অনুবাদ করে ফলাফল প্রদর্শন করে।
  2. সহজে ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে বের করা।
  3. ওয়েব সাইটের ঠিকানা না জানা থাকলেও সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে তথ্য খোঁজা।
  4. তথ্য ডাউনলোড/আপলোড করা।

কয়েকটি জনপ্রিয় ব্রাউজারের নাম:

  1. Internet Explorer
  2. Mozila Firefox
  3. Google Chrome
  4. Safari
  5. Opera

কয়েকটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের নাম:

  1. Google
  2. yahoo
  3. bing
  4. ask
  5. amazon

Web Hosting   : ইন্টারনেটে ওয়েবের ফাইলগুলো কোনো সার্ভারে রাখাকে ওয়েব হোস্টিং বলে।

Hosting            : হোস্টিং হচ্ছে অনলাইনে ওয়েব সাইট আপলোড করার সার্ভার বা কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের জায়গা। এটি ISP(Internet Service Provider) দিয়ে থাকে।

হোস্টিং এর প্রকারভেদ: প্লাটফর্ম বা অপারেটিং সিস্টেম ভিত্তিক দু’ধরণের

  1. উইন্ডোজ হোস্টিং: যে সকল ওয়েবসাইট ASP ভাষা এবং ডটাবেজ হিসাবে Micro Soft SQL সার্ভার ব্যবহার করে তৈরি করা হয় সে সব সাইটকে Windows Server এ হোস্টিং করতে হয়।
  2. লিনাক্স হোস্টিং: যে সকল ওয়েবসাইট PHP এবং My SQL সার্ভার ব্যবহার করে তৈরি করা হয় সে সব সাইটকে Linux Server এ হোস্টিং করতে হয়।

বিনামূল্যে হোস্টিং : Band width অনেক কম, নিরাপত্তা নেই, ডোমেইন নেম থাকেনা।

শেয়ার্ড সার্ভার:

  1. সার্ভারের হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন একই ধরণের থাকতে হয়।
  2. রিসোর্স ভাগ করার কারনে সার্ভারের কার্যক্রম ধীর হয়ে যায়।
  3. নিরাপত্তা কম।
  4. ডেটাবেজ, ই-মেইল, ব্যান্ডউইথ সব কিছুই সীমিত।

ডেডিকেটেড হোস্টিং

  1. Managed Hosting
  2. Unmanaged Hosting

কলোকেটেড হোস্টিং: ISP কোম্পানীগুলো সাধারণত ই-মেইল একাউন্ট ও সার্ভিস দিয়ে থাকে। ৩ধরণের ই-মেইল সার্ভিস দেয় যথা:

  1. POP(Post Office Protocol) ই-মেইল।
  2. IMAP(Instant Message Access Protocol) ই-মেইল।
  3. Web Based ই-মেইল।

ICANN            : Internet Corporation for Assigned Names and Numbers সারা বিশ্বের ডোমেইন নেম বা IP Address যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রণ করে তার নাম ICANN.

Host Name:

Second Level Domain

FQDN              : Fully Qualified Domain Name

TLD                : Top Level Domain

CCTLD           : Country Code Top Level Domain

ওয়েব পোর্টাল কি?

ওয়েব পোর্টাল হচ্ছে এমন একটি বিশেষ ওয়েব পাতা যেখানে অনেক গুলা উৎস থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন তথ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক সাজানো থাকে। একটি ওয়েব পোর্টালে সাধারণত সরকারী সেবার তথ্য, স্থানীয়, আঞ্চলিক, স্টক রিপোর্ট এবং জাতীয় খবর, এবং ইমেইল সেবা প্রদান করে থাকে।

মূলত প্রতিটি নির্দিষ্ট তথ্যের উৎসকে প্রদর্শনের জন্য ওয়েব পোর্টালে যথেষ্ট পরিমান এলাকা থাকা মানে তথ্যকে প্রদর্শনের জন্য পেজে তার ডেডিকেটেড এলাকা পায়। এছাড়াও প্রতিটা ওয়েব পোর্টালে প্রথম পাতায় সব গুলা তথ্যের জন্য একটি ইনডেক্স বা সূচি দেয়া থাকে, যেন ব্যবহারকারীরা সহজে তার দরকারি তথ্য খুজে পায়।

ওয়েব পোর্টাল বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। যেমনঃ

  1. ব্যক্তিগত ওয়েব পোর্টাল
  2. সরকারী ওয়েব পোর্টাল
  3. সাংস্কৃতিক ওয়েব পোর্টাল
  4. কর্পোরেট ওয়েব পোর্টাল

এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরণের ওয়েব পোর্টাল রয়েছে।

are YahooExciteLycosNetscapeAltaVista,MSN, and AOL.com. There are also many smaller portals, known as “niche portals,” for specific interests.

ওয়েবসাইটের কাঠামো: ওয়েবসাইটের অন্তর্গত বিভিন্ন পেজগুলো কিভাবে সাজানো থাকবে তাই হলো ওয়েবসাইটের কাঠামো।

Website কী? Website এর কাঠামো ও প্রকারভেদ বর্ণনা কর।

ইন্টারনেটের সাথে যথাযথভাবে সংযুক্ত কোন কম্পিউটারের বরাদ্দকৃত স্পেস বা লোকেশন যাতে এক বা একাধিক ওয়েব পেজ সংরক্ষণ করে রাখা যায় তা-ই হলো ওয়েবসাইট।

অক্সফোর্ড ডিকশনারী অনুসারে  ওয়েবসাইট হলো ‍”A location connected to the Internet that maintains one or more web pages.”

Website এর কাঠামো:

একটি ওয়েব সাইটের ভেতরে অনেক ওয়েব পেজ থাকতে পারে। ওয়েব সাইটের অন্তর্গত বিভিন্ন পেজগুলো কীভাবে সাজানো থাকবে তাই হলো ওয়েব সাইটের কাঠামো।

একট ওয়েব সাইটের কাঠামো মূলতঃ তিন ভাগে বিভক্ত থাকে। যথা-

১. হোম পেজ

২. মূল ধারার পেজ (Main Section)

৩. উপধারার পেজ (Sub Section)

ওয়েব সাইটের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উহার বিভিন্ন পেজগুলোকে নিম্নোক্ত চার ভাবে সাজানো যায়। যথা-

১. ট্রি বা হায়ারারর্কিক্যাল (Hierarchical)

২. ওয়েব লিংকড বা নেটওয়ার্ক (Network)

৩. সিকুয়েন্স বা লিনিয়ার (Linear)

৪. হাইব্রিড বা কম্বিনেশন (Combination)

ওয়েবসাইটের বিভিন্ন অংশ ও গঠন

একটি ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করা যায়। একটি ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একে কখন Hierarchical, Network বা Linear অথবা এগুলোর সম্মিলিত উপায়ে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হয়ে থাকে। এখানে এই কৌশলগুলো আলোচনা করব।

Hierarchical
• এই কৌশল ব্যবহার করে ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করা হয়ে থাকে যাতে একজন ভিজিটর সহজেই বুঝতে পারে কোন অংশে তার প্রয়োজনীয় তথ্য আছে। এই কৌশলে ওয়েবপেইজগুলোকে এমনভাবে লিঙ্ক করা হয় যাতে এগুলো বিভিন্ন শাখায় ভাগ করা থাকে। Yahoo.com ওয়েবসাইটটি এই কৌশল ব্যবহার করে বিভিন্ন অংশে ভাগ করা হয়েছে।
Network

  • এখানে সবগুলো ওয়েবপেইজের সাথেই সবগুলোর লিঙ্ক থাকে অর্থাৎ একটি মেনু পেইজের সাথে যেমন অন্যান্য পেইজের লিঙ্ক থাকবে তেমন প্রতিটি পেইজ তাদের নিজেদের সাথেও মেইন পেইজের লিঙ্ক থাকবে। ফ্রেম ব্যবহার করে তৈরী করা ওয়েবপেইজগুলো এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লিঙ্ক করা হয়ে থাকে যাতে একটি ছোট ফ্রেমের মধ্যে অন্যান্য পেইজের লিঙ্কগুলো মেনু আকারে রাখা হয়। এই ফ্রেমটি সাধারণত স্থির থাকে এবং কোন একটি লিঙ্ক নির্বাচন করলে ঐ পেইজটি একটি অপেক্ষাকৃত বড় ফ্রেমের মধ্যে দেখায়।

Linear
• যখন কোন ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেইজে ভিজিটে একটি নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে চালনা করার প্রয়োজন হয় তখন Linear গঠনটি ব্যবহার করা হয়। কোন পেইজের পর কোন পেইজে যাওয়া যাবে তা ওয়েবপেইজের ডিজাইনার ঠিক করে থাকে। পেইজগুলোতে Next,Previous বা Back এবং Top, Last ইত্যাদি কয়েকটি লিঙ্কের মাধ্যমে ভিজিটর এক পেইজ দেখতে পারে। এই কৌশলের মাধ্যমে কোন শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু যেমন বই,ম্যানুয়াল ইত্যাদি সাইটে পাব্লিশ করা হয়ে থাকে।

Combination
• কখনও কোন একটি কৌশল ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা হয় না। বরং একাধিক ডিজাইনের সমন্বয়ে একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হয়ে থাকে। Hierarchical টেকনিক ব্যবহার করে সাইট ডিজাইন করলে তা খুব বেশি দর্শনীয় হয় না। আবার শুধু নেটওয়ার্ক টেকনিক ব্যবহার করে তৈরী করা সাইট হার্ড-ডিস্কে বেশি জায়গা দখল করে। তাই একাধিক কৌশল ব্যবহার করে সাইট তৈরী করা হয়। তবে এক ওয়েবপেইজ থেকে আরেক ওয়েবপেইজে যাওয়ার জন্য যা ব্যবহার করা যেমন লিঙ্ক, বাটন, মেনু ইত্যাদি(এদেরকে বলা হয় Navigational টুল) অবশ্যই স্পষ্ট হতে হবে। যদি লিঙ্কগুলো কোন পেইজের উপরে বাম দিকে দেয়া হয় তবে একই লিঙ্ক পেইজের নিচেও দেওয়া উচিত।

  1. এইচটিএমএল এর ইতিহাস
  2. এইচটিএমএল এর ধারণা
  3. htm নাকি html এক্সটেনশন?
  4. HTML, XHTML, XML, HTML5
  5. www: World Wide Web
  6. HTML Tags, Attributes, Elements and Syntax
  7. HTML Formatting
  8. Hyperlink
  9. ওয়েব পেইজ ডিজাইনিং

HTML কী? এর সুবিধাসমূহ লিখ।

উত্তর     : HTML হলো Hyper Text Mark-up Language এর সংক্ষিপ্ত রুপ। যা World Wide Web (www) ব্রাউজারে তথ্য প্রদর্শন বা ওয়েব পেজে তথ্য উপস্থাপন ও ফরমেট করতে প্রোগ্রামারগণ ব্যবহার করেন। এটি সত্যিকার অর্থে কোন প্রোগ্রামিং ভাষা নয়। তবে প্রোগ্রামারগণ ওয়েব পেইজে টেক্সট, অডিও, ভিডিও, গ্রাফিক্স বা অ্যানিমেশনকে সুন্দরভাবে সাজাতে বা ফরমেট করতে এই ভাষা ব্যবহার করেন। জেনেভায় অবস্থিত CERN এ কাজ করার সময় টিম বার্ণার লী ১৯৯০ সালে সর্বপ্রথম HTML আবিষ্কার করেন।

সুবিধাসমূহ নিম্নরুপ:

  1. পৃথিবীর যে কোন স্থানের কম্পিউটার HTML সাপোর্ট করে।
  2. ওয়েব পেজের টেমপ্লেট গঠন করা যায়।
  3. ওয়েব ফর্ম ডিজাইন করা যায়।
  4. থার্ড পার্টি এপ্লিকেশন ব্যবহার ছাড়াই ওয়েবে ভিডিও এবং অডিও যু্ক্ত করা যায়।
  5. ক্যানভাস ফিচারের সাহায্যে আকর্ষনীয় টু ডাইমেনশনাল ড্রইং তৈরি করা যায়।
  6. জিওলোকেশন ব্যবহার করে ভিজিটররা ওয়েব এপ্লিকেশনের মাধ্যমে তাদের অবস্থান শেয়ার করতে পারে।
  7. ড্রাগ এন্ড ড্রপের সাহায্যে কোন পেজের বিভিন্ন উপাদানকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থাপন করা যায়।
  8. পরবর্তী প্রজন্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের জন্য HTML ওয়েব সকেট ফিচারটি বাইডিরেকশনাল কমিউনিকেশন টেকনোলজি হিসাবে আচরণ করে।
  9. বিভিন্ন ধরণের ফরমেটিং করা যায়।

 মেটা ট্যা্গ কী?

META TAG হলো একটি HTML ট্যাগ, যা <head> ট্যাগের মধ্যে ব্যবহার করা হয়। মেটা ট্যাগের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন ওয়েব সাইট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। SEO করার জন্য মেটা ট্যাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চিত্রঃ মেটা ট্যাগ

 বুক মার্ক কী?

ওয়েব ব্রাউজারে একটি ওয়েব পেজকে সর্টকাট করে রাখাকে বুক মার্ক বলা হয়। যে সকল পেজ বেশি বেশি ব্যবহার করা হয় সেই পেজগুলোকে বুক মার্ক করা হয়।

৬.প্রশ্ন   : ওয়েব সাইট/পেজ চালু করার ধাপসমূহের বর্ণনা লিখ।

উত্তর     : ওয়েব সাইট/পেজ চালু করতে নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবে। যথা-

ধাপ-১    : ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন

ধাপ-২    : ওয়েব পেজ ডিজাইন

ধাপ-৩   : ওয়েব সার্ভারে পেজ হোস্টিং

ধাপ-৪    : সার্চ ইঞ্জিনের সাথে ওয়েব সাইট সংযু্ক্ত।